হাসান বিন সাব্বাহ ~ইসলাম পরিচয়


 হাসান বিন সাব্বাহ 

  

লিখেছেন- ইমরান রাইহান

 
হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর শেষভাগ। মিসরে তখন ফাতেমি সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে শিয়া মতবাদের বিষবাষ্প। নামে ফাতেমি হলেও এটি ছিল মূলত উবাইদিয়্যাহ সাম্রাজ্য। তারা ইসলামকে বিকৃত করছিল। প্রতিনিয়ত তাদের হাতে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আলেমরা হচ্ছিলেন নির্যাতিত। সে সময় পারস্যে মাথা তুলে দাঁড়ায় নতুন এক শক্তি। এরাও স্বপ্ন দেখছিল ফাতেমিদের মতো আরেকটি শিয়া সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু সাম্রাজ্য-প্রতিষ্ঠার জন্য তারা বেছে নেয় এক নতুন পথ। এর আগে যে পথ অবলম্বন করেনি আর কেউ। শুরুতে এরা পরিচিত ছিল ইসমাইলিয়্যাহ নামে। তবে পরে নানা নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। মুলাহিদা, তালিমিয়্যাহ, বাতেনিয়্যাহ–সবকটি নামে এরা কুখ্যাতি অর্জন করে। ক্রুসেডের সময় শামে এদেরকে বলা হতো হাশিশিয়্যাহ। তবে এরা কুখ্যাতি পেয়েছে বাতেনিয়্যাহ নামেই।

মাত্র কয়েক বছরে এরা পুরো মুসলিম বিশ্বে নিজেদের প্রভাব ছড়িয়ে দেয়। ইসমাইলি ফিরকার এই দলের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও এক রহস্যমানব। ইতিহাস যাকে চেনে হাসান বিন আলি আস-সাব্বাহ নামে। সংক্ষেপে হাসান বিন সাব্বাহ। আধুনিককালে প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর প্রাণপুরুষ বলা যায় তাকেই। তার আবিষ্কৃত নানা কূটকৌশল আজও অনুসরণ করছে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। (১)

হাসান বিন সাব্বাহর জন্ম ৪৩০ হিজরিতে। তুস শহরে। তার পিতা সাব্বাহ ছিলেন একজন রাফেজি ফকিহ। হাসান বিন সাব্বাহর বাল্যকাল কাটে তুস শহরেই। ছিল মেধাবী। ছাত্রজীবনে অন্যান্য বিষয়ের সাথে রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা ও জাদুবিদ্যাতেও সে দক্ষতা অর্জন করে। সাধারণত বলা হয় বাল্যকালে হাসান বিন সাব্বাহ নিজামুল মুলক তুসি ও উমর খৈয়ামের সহপাঠী ছিল। তবে আধুনিক গবেষকরা এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছেন (২)। একই সময় হাসান বিন সাব্বাহ আবদুল মালিক বিন আত্তাশের সান্নিধ্যলাভ করে। আবদুল মালিক বিন আত্তাশ ছিলেন ইসমাইলিদের অন্যতম ধর্মীয় গুরু। সে-সময়ে ইসমাইলিদের মূল কেন্দ্র ছিল মিসরে। ৪৬৭ হিজরিতে হাসান রায় থেকে মিসরের উদ্দেশ্যে সফর করে। ৪৭১ হিজরিতে মিসরে পৌঁছে। মিসরে ৮ মাস অবস্থান করে। এ সময় সে ফাতেমী খলিফা মুস্তানসিরের সাথেও সাক্ষাত করে। খলিফা মুস্তানসির হাসানকে শাহি প্রাসাদে মেহমান করে রাখেন। তাকে প্রচুর উপহার দেন। মিসরে অবস্থানকালে হাসান ফাতেমিদের প্রভাব-প্রতিপত্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। খলিফা মুস্তানসির পারস্য ও খোরাসানে ইসমাইলিদের দাওয়াত প্রচার করার জন্য হাসানকে প্রেরণ করে। সে-সময় হাসান খলিফাকে জিজ্ঞেস করে আপনার পর আমরা কাকে অনুসরণ করব? খলিফা বললেন, আমার পুত্র নিজারকে। হাসান পারস্যে এসে তার দাওয়াত প্রচার করতে থাকে। সে সবাইকে নিজারের দিকে আহবান করতে থাকে। সেই থেকে হাসানের অনুসারীরা পরিচিত লাভ করে নিজারিয়া নামে। ৪৭৩ হিজরিতে হাসান ইস্ফাহানে পৌঁছে ইসমাইলি ফিরকার দাওয়াত দিতে থাকে। কিছুদিন পর সে চলে যায় কাজভিনে। এখানে সে আলামুত দুর্গ দখল করে নেয় এবং তার অনুসারীদেরসহ সেখানেই অবস্থান করতে থাকে। এটা ৪৮৩ হিজরির ঘটনা। হাসান নিজেকে দাবি করত খলিফা মুস্তানসিরের নায়েব বলে। একইসাথে সে পরিচিত হয়ে ওঠে শায়খুল জাবাল নামেও। হাসানের সাথে ছিল একটি বালক। সে তার অনুসারীদের বলত সবার জন্য শিক্ষক আবশ্যক। আর তোমাদের শিক্ষক হলো এই বালক। তার আনুগত্য করা তোমাদের উপর ওয়াজিব। সে সন্তুষ্ট হলে তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তি পাবে। তার আনুগত্য ছাড়া আর কিছুর দরকার নেই। (৩)

হাসান বিন সাব্বাহর অনুসারীরা নিজেদের ফিরকার প্রচার শুরু করে জোরেশোরে। এই ফিরকার প্রচারকরা নিজেদের ফিরকার প্রচার করতো নানা কৌশলে। প্রথমেই তারা খুঁজে নিত এমন লোকদেরকে, যাদের মধ্যে ধর্মীয় জ্ঞান নেই। তারপর তার সাথে কথা শুরু করতো। এ ক্ষেত্রে তারা কথা শুরু করতো অন্ধকার কক্ষে। যেখানে আলো আছে সেখানে কখনো আলাপ করতো না। আলোচনার শুরুতে তারা নানা প্রশ্নের মাধ্যমে শ্রোতাকে বিভ্রান্ত করে দিত। যেমন বিভিন্ন সুরার শুরুতে থাকা হুরুফে হিজার অর্থ জিজ্ঞেস করতো। বিশুদ্ধ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে শ্রোতারা জবাব দিতে পারতো না। তখন বাতেনিরা কৌশলে নিজেদের মতবাদ ও বিশ্বাস আলোচনা করতো। হাসান বিন সাব্বাহ অল্পদিনেই প্রচুর অনুসারী জুটিয়ে ফেলে। একইসাথে গঠন করে তার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ফেদায়ি বাহিনী। এ সময় আলামুতের আশপাশের কয়েকটি কেল্লাও সে দখল করে। হাসান বিন সাব্বাহর তৎপরতা সম্পর্কে সুলতান মালিক শাহ সেলজুকি নিয়মিত সংবাদ পাচ্ছিলেন। তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। তিনি হাসানের সাথে বিতর্ক করার জন্য ইমাম আবু ইউসুফ ইয়াকুব বিন সুলাইমানকে আলামুতে পাঠান। তিনি ছিলেন আহলুস সুন্নাহর একজন বিশিষ্ট আলেম ও ফকিহ। তিনি হাসান বিন সাব্বাহ’র সাথে কয়েকটি বিতর্কের মজলিসে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু কোনো নিষ্পত্তি ছাড়াই এ আলোচনা সমাপ্ত হয়। মালিক শাহ সেলজুকি আর অপেক্ষা করতে পারছিলেন না। তিনি হাসানকে চূড়ান্ত পত্র দেন। পত্রের ভাষ্য ছিল এমন–হাসান, তুমি এক নতুন দীনের সূচনা করেছ। মানুষকে ধর্মের নামে ধোঁকা দিচ্ছ। একদল মূর্খকে একত্রিত করে পাহাড়ে বসে তাদের সাথে আড্ডা দিচ্ছ। দীন ও মিল্লাতের প্রহরী আব্বাসি খলিফাদের বিরুদ্ধে মানুষকে উসকে দিচ্ছ। নিজেকে এবং নিজের অনুসারীদের ধবংসের মুখে ঠেলে দিও না। মনে রেখো, তোমার কেল্লা যদি আসমানের গম্বুজের উপরেও থাকে তাহলেও আমরা আল্লাহর সাহায্যে তা ধবংস করে ফেলবো।

সুলতানের পত্রের জবাবে হাসান একটি দীর্ঘ পত্র লিখে জবাব দেয়। সেখানে সে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস স্পষ্ট করে এবং সে এই বিশ্বাস থেকে যে ফিরে আসবে না তাও জানিয়ে দেয়।

উপায় না দেখে সুলতান মালিক শাহ ৪৮৫ হিজরিতে আরসালান তাশের নেতৃত্বে একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। এই বাহিনী এসে আলামুত দুর্গ অবরোধ করে। সে-সময় কেল্লার ভেতরে হাসানের সাথে সর্বসাকুল্যে ৭০ জন লোক ছিল। কিন্তু হাসান বিন সাব্বাহ অবরোধের জন্য প্রস্তুত ছিল। প্রয়োজনীয় রসদও তার সংগ্রহে ছিল। এদিকে কেল্লা ছিল দুর্গম পাহাড়ের উপর। ফলে সালজুকি সেনাদের বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছিল। অবরোধ কয়েক মাস দীর্ঘ হয়। আরসালান তাশ হাসানকে আত্মসমর্পণ করে কেল্লা মুসলমানদের হাতে তুলে দিতে বলছিলেন। জবাবে হাসান পত্র লিখে বলে, তোমাদের কী হয়েছে? কেন আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছ? আমরা এই সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে চাই। এই সমাজ দূষিত হয়ে গেছে। আমরা এখান থেকে জুলুমকে বিদায় জানাতে চাই। চাই মানুষের মাঝে ভালোবাসা তৈরি করে দিতে।

চারমাস অবরোধ শেষে আরসালান তাশ সেনাবাহিনী নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হন। কারণ তিনি অবস্থান করছিলেন দুর্গম অঞ্চলে। রসদের ব্যবস্থাও সহজ ছিল না। এদিকে যুদ্ধও কোনো ফলাফল দিচ্ছিল না। (৪) সালজুকি বাহিনী বিদায় নিলে হাসান বিন সাব্বাহ নতুন করে তার বাহিনীকে ঢেলে সাজায়। ইতিমধ্যে নিজস্ব মতবাদ প্রচারের পাশাপাশি সে গড়ে তোলে ফেদায়ি বাহিনী। সহজ ভাষায় বললে ভাড়াটে খুনী। এই বাহিনীর কর্মীরা ছিল হাসানের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। হাসানের ইশারায় তারা মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ছিল। এরা টাকার বিনিময়ে হত্যা করতো। আবার হাসান বিন সাব্বাহর আদেশ পেলে কারণ ছাড়াই যে-কাউকে হত্যা করে ফেলতো। এমনকি হাসানের আদেশ পেলে নিজেকে হত্যা করতেও দ্বিধা করতো না। হাসানকে তারা বলতো শায়খুল জাবাল, পাহাড়ের শায়খ। তাদের সম্পর্কে ইবনু খালদুন লিখেছেন, হাসান বিন সাব্বাহর অনুসারীরা যে কাউকে হত্যা বৈধ মনে করতো। এরা ছিল ছদ্মবেশ ধরতে পটু। কাউকে হত্যার আদেশ পেলে তাকে খুজে বের করতো। সাধারণত দুইজন বা তিনজন একসাথে থাকতো। শিকারের কাছাকাছি গিয়ে তার উপর আঘাত হানতো। প্রথমজন ব্যর্থ হলে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্বিতীয়জন আঘাত হানতো। সাধারণত তাদের বেঁচে ফেরার কোনো ইচ্ছা থাকতো না, তাই তারা খুব কমই ব্যর্থ হতো। সাধারণত তারা নামাজ চলাকালীন হামলা চালাতো। তাদের পরনে থাকতো সাদা জুব্বা, কোমরে রক্তলাল কোমরবন্ধ। লুকিয়ে রাখতো বাকা ছুরি। অল্পদিনেই তারা মুসলিম বিশ্বে ত্রাসের সঞ্চার করে। সালজুকি আমিরদের অনেকেই তাদের হাতে নিহত হয়। অনেক সময় সুলতানরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করার জন্য এদের সাহায্য নিতেন। যেমন সুলতান বরকিয়া রওক তাঁর ভাই মুহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়ার সময় এদের সাহায্য নিয়েছেন। (৫)

হাসান বিন সাব্বাহর অনুসারীদের নানা নামে ডাকা হতো। টাকার বিনিময়ে হত্যা করতো বলে এদের বলা হতো ফেদাইয়ি। এরা নিজের ধর্মবিশ্বাস গোপন রাখতো তাই তাদেরকে বাতেনিও বলা হতো। যেহেতু এরা ছিল ধর্মত্যাগী তাই কোথাও কোথাও এরা মুলাহিদা নামেও প্রসিদ্ধ ছিল। যেমন ভারতবর্ষের ইতিহাসগ্রন্থগুলোতে এদেরকে মুলাহিদা বলে অভিহিত করা হয়েছে। ইসমাইলি নামে এরা পরিচিত ছিল কারণ তারা মূলত ইসমাইলিয়াদেরই একটি শাখা। আবার নিজারের দিকে আহ্বান করতো বলে নিজারিয়াও বলা হতো। তবে এরা নিজেদের পরিচয় দিত আসহাবুদ দাওয়াতিল হাদিয়্যাহ নামে। (৬)

হাসান বিন সাব্বাহ পারস্যে অনেক দুর্গ দখল করে। এসব দুর্গের আশপাশে তারা প্রচুর লুটপাট করতো। এসব দুর্গ দুর্গম স্থানে অবস্থিত হওয়ার কারণে সেনাবাহিনীও হাসানের বিরুদ্ধে তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। সাধারণত প্রচলিত হলো, হাসান তার অনুসারীদের হাশিশ পান করিয়ে মাতাল করতো। তবে কেউ কেউ এই মত প্রত্যাখান করেছেন। (৭)

হাসান ছিল খুবই প্রতিভাধর এক অপরাধী। তার সম্পর্কে ইমাম জাহাবি লিখেছেন, সে ষড়যন্ত্র ও প্রতারণায় কুখ্যাত। তার মধ্যে আল্লাহ কোনো বরকত রাখেননি। সে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। (৮)

হাসানের অনুসারীরা ছিল তার জন্য নিবেদিতপ্রাণ। সুলতান মালিক শাহ একবার হাসানকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন। জবাবে হাসান সুলতানের দূতের সামনেই তার কয়েকজন অনুসারীকে ডেকে আনে। সে তাদেরকে বলে, তোমরা পাহাড়ের উপর থেকে লাফ দাও। সাথে সাথে সবাই পাহাড়ের উপর থেকে লাফ দিয়ে মারা যায়। এরপর হাসান সুলতানের দূতের দিকে তাকিয়ে বলে, সুলতানকে বলো, আমার কাছে এমন ২০ হাজার যোদ্ধা আছে। (৯)

এরপর থেকে মালিক শাহও বাতেনিদের বেশি ঘাটাননি। ৪৮৫ হিজরিতে বাতেনিদের হাতে সালজুকি সাম্রাজ্যের উজির নিজামুল মুলক নিহত হন। ৪৯৪ হিজরিতে সুলতান বরকিয়া রওক বাতেনিদের হত্যার আদেশ দেন। এরপর থেকে এদের হত্যা করা হতে থাকে। কিন্তু এতে তাদের শক্তি খুব একটা খর্ব হয়নি।

৪৯৮ হিজরিতে মুহাম্মদ বিন মালিক শাহ হাসানের হাত থেকে বেশকিছু দুর্গ উদ্ধার করেন। ৫১৮ হিজরিতে হাসান বিন সাব্বাহ মারা গেলে বাতেনিরা বেশ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে যায়। তবে তাদের শক্তি খর্ব হয়নি। বরং তারা সিরিয়ায় বেশকিছু কেল্লা দখল করে একটি রাজ্য গঠন করে। পারস্যের বাতেনীদের উপর প্রাথম কার্যকর হামলা করেছিলেন সুলতান জালালুদ্দিন খাওয়ারেজম শাহ। তিনি তাদের অনেকগুলো কেল্লা গুড়িয়ে দেন।

ক্রুসেডের সময় সিরিয়ার বাতেনিরা ক্রুসেডারদের সাথে হাত মেলায়। তখনকার শায়খুল জাবাল রশিদুদ্দিন সিনান সুলতান সালাহুদ্দিন আইয়ুবির উপর হামলা করার জন্য গুপ্তঘাতক পাঠালেও তারা ব্যর্থ হয়। (১০)

১২৫৭ খ্রিষ্টাব্দে হালাকু খান আলামুতে হামলা করে রুকনুদ্দিন খোরশাহকে পরাজিত করে এবং বাতেনিদের স্বপ্নের দুর্গ চিরতরে ধবংস করে দেয়। সিরিয়ার বাতেনিদের উপর চূড়ান্ত আঘাত করেছিলেন সুলতান রুকনুদ্দিন বাইবার্স। তাঁর আক্রমণে তাদের সিরিয়ার ঘাটি ধবংস হয়। বেশিরভাগ বাতেনি নিহত হয়। অল্প যে কজন বেঁচে ছিল তারা পাড়ি দেয় ভারতবর্ষে।

হ্যাঁ, বাতেনিরা এসেছিল ভারতবর্ষে এবং তাদের সন্তানরাই এখন আছে বেশ দাপটের সাথে। পাকিস্তানের আগাখানিরাই হলো সিরিয়ার বাতেনিদের বংশধর। (১১) আগাখানিদের ইতিহাসও জানা দরকার। তবে সে আলোচনা পরে কখনো।


টীকা
১। আবদুল্লাহ ইনান, তারাজিমু ইসলামিয়্যা, পৃষ্ঠা ৩৮, (কায়রো, মাকতাবাতুল খানজি, ১৩৯০ হিজরী) 

২। The Encyclopaedia Of Islam, 3/253,254, (E J Brill, 1986)

 ৩। কাযভিনি, যাকারিয়া বিন মুহাম্মদ বিন মাহমুদ (মৃত্যু ৬৮২ হিজরী), আসারুল বিলাদ ওয়া আখবারুল ইবাদ, পৃ-৩০১-৩০২, (বৈরুত, দার সাদের)

 ৪। উসমান খাশত, হারাকাতুল হাশশাশিন, পৃ- ৬৯-৭২, (কায়রো, মাকতাবাতু ইবনি সিনা, ১৪০৮ হিজরী) 

৫। ইবনু খালদুন, আবদুর রহমান (মৃত্যু ৮০৮ হিজরী), তারিখ ইবনি খালদুন, ৪/১২১-১২৫, (বৈরুত, দারুল ফিকর, ১৪২১ হিজরী) 

৬। কলকাশান্দি, আবুল আব্বাস আহমাদ (মৃত্যু ৮২১ হিজরী) , সুবহাল আ’শা, পৃ-১১৯, (কায়রো, দারুল কুতুবিল মিসরিয়্যা, ১৩৪০ হিজরী) 

৭। The Encyclopaedia Of Islam, 1/352-353, (E J Brill, 1986) 

৮। যাহাবী, শামসুদ্দিন মুহাম্মদ বিন আহমাদ বিন উসমান (মৃত্যু ৭৪৮ হিজরী), মিযানুল ইতিদাল, ১/৫০০ 

৯। ইবনুল জাওযি, আবুল ফারায আবদুর রহমান বিন আলি বিন মুহাম্মদ (মৃত্যু ৫৯৭ হিজরী), আল মুন্তাজাম ফি তারিখিল মুলুকি ওয়াল উমাম, ১৭/৬৪, (বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা)

 ১০। ইবনু কাসির, ইমাদুদ্দিন আবুল ফিদা ইসমাইল বিন উমর (মৃত্যু ৭৭৪ হিজরী), আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৬/৫১২, (মারকাযুল বুহুস লিদদিরাসাতিল ইসলামিয়্যাহ)

 ১১। যিরিকলি, খাইরুদ্দিন (মৃত্যু ১৩৯৬ হিজরী), আল আলাম, ২/১৯৩-১৯৪, (বৈরুত, দারুল ইলম লিল মালায়িন, ২০০৬ খ্রিস্টাব্দ)

 

 

 keyword

  • হাসান বিন সাব্বাহ,
  • হাসান বিন সাব্বাহ কে পর্বতের বৃদ্ধ বলা হয় কেন,
  • hassan-i-sabbah,
  • সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা কে,
  • পর্বতের বৃদ্ধ কাকে বলা হয়,  
  •  পর্বতের বৃদ্ধ লোক কে,
  • কাকে পর্বতের বৃদ্ধ মানব বলা হয়,

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.