─────────────────────
পঞ্চম খলিফা কে? নীচের কোনটি?
হাসান বিন আলি(রা:) না উমর বিন আব্দুল আজীজ না মু'আবিয়া ইবনে আবু সুফ'ইয়ান(রা:)?
─────────────────────
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অনেকেই ভুল করে। হয় ঠিক জানা হয় নি নতুবা ত্রুটিযুক্ত ইতিহাস থেকে তথ্য গ্রহণ। এর উত্তর আমি গ্রপে আগেও দিয়েছি। আবার পরিস্কারভাবে জানাতে চাই।।
───────────────────────────
🔹রাসূল(সা:) খিলাফত সংক্রান্ত ভবিষ্যতবাণী:-
───────────────────────────
▪️সাফিনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
"নাবুওয়াতি পন্থায় খিলাফাত ত্রিশ বছর পরিচালিত হবে। অতঃপর যাকে ইচ্ছা আল্লাহ রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন"
(আবু দা'উদ: ৪৬৪৬, ৪৬৪৭)
▪️সাঈদ ইবনু জুহমান (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, সাফীনাহ (রাঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
"আমার উম্মাতের খিলাফাতের সময়কাল (শাসনকাল) হবে ত্ৰিশবছর, তারপর হবে রাজতন্ত্র"
(তিরমিযী: ২২২৬)
–উপরের হাদীসে "উম্মত" বলতে সেসব সাহাবীর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যাঁরা নাবুওয়াতি পন্থায় খিলাফত পরিচালনা করবেন অর্থাৎ রাজতন্ত্র ব্যাতীত শাসনকাল। এর সময়কাল হল ৩০ বছর।
────────────────
🔹খিলাফতের হিসাবসূচি:-
────────────────
(১) খিলাফতে নাবুওয়াতী–
● রাসূল(সা:) এর ওফাত হয় ১১ হিজরী
(১) আবু বকর (রা:) = (১১-১৩ হিজরী) = ২ বছর
(৬৩২–৬৩৪ সাল)
(২) উমর ফারুক (রা:) = (১৩-২৩ হিজরী) = ১০ বছর
(৬৩৪–৬৪৪ সাল)
(৩) উসমান (রা:) = (২৩-৩৫ হিজরী) = ১২ বছর
(৬৪৪–৬৫৬ সাল)
(৪) আলি (রা:) = (৩৫-৪১ হিজরী) = ৬ বছর,
(৬৫৬–৬৬১ সাল)
উপরের চার সাহাবীর খিলাফতকাল মাসের কমবেশি সঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে ২৯ বছর ৬ মাস। কিন্তু রাসূল(সা:) বলেছেন নাবুওয়াতী ভিত্তিতে খিলাফত থাকবে ৩০ বছর। এই ৬ মাস পূর্ণ করেন "হাসান বিন আলি(রা:)" যে কারণে তিনি হলেন পঞ্চম খালিফা।
(২) উমাইয়া খিলাফত (৪১–১৩২ হিজরী) = প্রায় ৯০ বছর
(৬৬১–৭৫০ সাল)
(৩) আব্বাসী খিলাফত (১৩২–৬৪০ হিজরী) = প্রায় ৫০৮ বছর
(৭৫০–১২৫৮ সাল)
─────────────
🔹পঞ্চম খলিফা কে?
─────────────
(১) যারা বলছেন, মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান(রা:) ৫ম খলিফা, তাদের কাছে প্রশ্ন, –
মু'আবিয়া(রা:)কে , কে খিলাফত দিল? কে প্রথম বাইয়্যাত নিলো?? আলি(রা:) তো দেয় নি।
• উত্তর: আলি(রা:) এর মারা যাওয়ার পর খলিফা হয়েছিলেন হাসান বিন আলি(রা:)। অরাজকতার মুখে তিনি ৬ মাস খিলাফত থাকার পর চুক্তির মাধ্যমে মু'আবিয়া(রা:) কে খিলাফত তুলে দেন এবং তিনিই মু'আবিয়া(রা:) এর হাতে প্রথম বাইয়্যাত নিয়েছিলেন।
(২) ক্রমিং নং এর দিক থেকে উমর বিন আব্দুল আজিজ(রহ:) কখনোই ৫ম খলিফা নন। সাহাবীদের খিলাফতে ন্যায়পরায়ণতার মানদণ্ডে তাকে ৫ম বলা হয়ে থাকে।
কারণ, রাসূল(সা:) এর হাদীসে খিলাফতের ভবিষ্যৎ পূর্ণ বাস্তবায়ন হিসাবে হাসান বিন আলি(রা:) এর নাম আসে,
আর উমর বিন আজীজ(রহ:) সাহাবী নন। তাকে উপাধিগতভাবে ন্যায়পরায়নতার মানদণ্ডে ৫ম বলা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে হাসান বিন আলি(রা:) হলেন ইসলামের ৫ম খলিফা।
─────────
✍️ তৌসিফ
─────────
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
হযরত উসমান গানী তাকে শাম দেশের খলিফা নিযুক্ত করেন ।তার খেলাফট টা মাওলা তো বাতিল করেন নি।মদিনায় খলিফা বদল হলে অনেক অভিযোগ ছিল ওনার সেটা ,,কাতিলে উসমান,,নিয়ে।হযরত হাসান কে নিয়ে না।পরে ইমাম আলী মাকাম বুঝলেন আমাদের মতো নরম মানুষের যুগ ক্ষতাম হতে চলেছে ই।রাজ নেতাদের কাজ কাম মাশকুক হতে চলেছে তখন তিনি এই ঝাঁঞ্ঝাত থেকে নিজেকে আলাদা করেন।এবং সাবিক খলিফাই সারা ইসলাম জগতের খলিফা হয়ে যান ।
উত্তরমুছুন