ইসলামিক শিল্প ও স্থাপত্য কলা ~ ইসলাম পরিচয়

 ইসলামিক শিল্প ও স্থাপত্য কলা

 

ভূমিকা:-   মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন কিছু স্থাপত্য নিদর্শন নির্মিত হয়েছে যা হাজার বছর পরেও তার সৌন্দর্য ও আকর্ষণের কোনো কমতি নেই। মুসলিম স্থাপত্য গুলোর শিল্পকলা চারুকলা এবং স্থাপত্য কলা অলংকরণ কলার মান উন্নত বলেই কাল থেকে কালান্তর স্মরণীয় হয়ে আছে। সারা বিশ্বে ইসলাম প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে যুগে যুগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জন্ম নিয়েছে প্রভাবশালী মুসলিম শাসক। তাদের হাতে নির্মিত অবোধপূর্ব দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন ইসলামিক স্থাপত্য ছড়িয়ে আসে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। স্থাপত্য শিল্পের ভিন্ন ছাপ ফুটে উঠেছে মসজিদ রাজপ্রাসাদ দুর্গ সেতু সহ বিভিন্ন দালানে।

*রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সময়কালে:-  স্থাপত্য শিল্পীর অবকাশ নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সময়কালে দৃঢ় ছিল না নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম সাধারণ জীবন যাপন পদ্ধতি হওয়ার জন্য তেমন কোন শিল্প ও স্থাপত্যের উন্নতি হয়নি। তার অনুসারীগণ তার ইন্তেকালের 80 বছর পরে স্থাপত্য শিল্পের কিছুটা উন্নতি সাধন করেন।

*খলিফাদের সময়কালে:-  নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ইন্তেকালের পর চার খলিফার সময় সামান্য কিছু স্থাপত্য ও শিল্পকলার উন্নতি ঘটলেও এর ব্যাপকতা লাভ করেনি কেননা নবী করীম সাল্লাল্লাহু এর জীবন যাপন পদ্ধতি চার খলিফা পুরোপুরি ভাবে অনুসরণ করতেন।


*উমাইয়া শাসনামলে:-  এই সময় স্থাপত্য ও শিল্পকলার ব্যাপক হয় বিশ্বের করে আমের মুয়াবিয়ার শাসনামলে পার্শিয়াল তুর্কি ইত্যাদি শিল্পকলা উন্নতি লাভ করে স্থাপত্য ও শিল্পকলা শিল্পীর উন্নতি সাধন হয়েছিল যাহা স্মরণীয় হয়ে আছে। উমাইয়া শাসনামলে মসজিদ মিনার মেহরাব রাজপ্রাসাদ দুর্গ ইত্যাদি স্থানে স্থাপত্য ও শিল্পকলার ছাপ পরিলক্ষিত হয়। এই সময় কালের বেশ কিছু স্থাপত্য আজও স্বমহিমায় দন্ডায়মান তাদের মধ্যেই জেরুজালেমের কুব্বাত আল শাখরা , দামেস্কে উমাইয়া মসজিদ এইসব স্থাপত্য দেখলেই বুঝা যায় স্থাপত্য শিল্প কতটা উচ্চ মান অধিকার করেছিল। উমাইয়া খলিফা মুয়ামের সময়ে আর এক বৈশিষ্ট্য ছিল মাকসুরা। মাকসুরা ছিল খলিফার জন্য মসজিদের ভিতরে নির্ধারিত কাঠের পর্দা ঘেরা একটি বেষ্টনী মদিনার মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৬৩৫ খ্রিস্টাব্দে বর্ষায় ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে কুফায় এবং ৬৮১-৮২ খ্রিস্টাব্দে ফুসতাতে (মিশর) তিনটি মসজিদ নির্মিত হয়। মুসলিম শিল্পের সামঞ্জস্য আসে এর পরিকল্পনা থেকে তাই এই শিল্প দর্শক কে আনন্দ দেয় মুসলিম শিল্প তার বরণের জন্য বিখ্যাত বর্ণের সমরহ শিল্প বস্তুতে ব্যবহৃত কালী ও পাথর মানুষকে একঘেয়েমি থেকে রক্ষা করে। (ইয়ম গাদ্দারির মতে চিত্রাগারের সুন্দর চিত্র অথবা স্থাপত্যের স্থাপত্য বিশ তাদের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ করে। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম শিল্প অলংকরণের শিল্প স্থাপত্য কর্ম ধর্মীয় হোক অথবা জাগতিক হোক অলংকারনের প্রাচুর্যই একে কল্পনা বিলাস ও পরলৌকিক বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। 


*উপসংহার:- পরিশেষে বলা যায় যে স্থাপত্য ও শিল্পকলায় মুসলিমদের অবদান চিরস্মরণীয় সারা বিশ্ব ভ্রমণ করলে দেখা ও বোঝা যায় যে মুসলিম জাতির বৈশিষ্ট্য ও অবদানের কোন শেষ নাই মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের সৌন্দর্য আজও সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.